বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

‌‘বোমা মাওলানা’ মুকিত চার দিনের রিমান্ডে

প্রথম পাতা » জেলা জজ কোর্ট » ‌‘বোমা মাওলানা’ মুকিত চার দিনের রিমান্ডে
বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩



---

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মুকিত হোসাইন ওরফে ‘বোমা মাওলানা’র চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আদালতে লালবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর লালবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির লালবাগ বিভাগ।

ডিবি জানায়, এই ‘বোমা মাওলানা’ গান পাউডার সংগ্রহ করে প্রায় ৪০০টি বোমা তৈরি করেন। পরে এসব বোমা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। তার সরবরাহ করা বোমার মধ্যে একটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে মুকিত হোসাইন ওরফে ‘বোমা মাওলানা’র খোঁজ করছিলাম। তার নাম মুকিত। তবে সবাই তাকে ডাকে ‘বোমা মাওলানা’ নামে। একসময় সে আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও সভাপতি ছিল। পরবর্তী সময়ে সে ছাত্রদল মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ২০১৩-১৪ সালে বোমা বানাতে গিয়ে তার ডান হাতের কব্জি উড়ে যায়। এরপর থেকে তার নাম হয় ‘বোমা মাওলানা’। দলীয় আনুগত্য ও উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের কারণে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তাকে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত করেন স্বয়ং তারেক জিয়া।

মহানগর জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে যে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল সেটির মূল পরিকল্পনাকারী ছিল ‘বোমা মাওলানা’। গত ২৭ অক্টোবর রাতে মতিঝিল ব্যাংক কলোনিতে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পাঠানো ১০ কেজি পরিমাণ গান পাউডার রিসিভ করেন ‘বোমা মাওলানা’। তার কাছে এ গান পাউডার পৌঁছে দেন ভাটারা থানার যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম নয়ন।

এই গান পাউডার দিয়ে কয়েক দফায় প্রায় ৪০০টি হাত বোমা তৈরি করে ‘বোমা মাওলানা’। পরে তিনি বিভিন্ন থানা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের কাছে এসব বোমা সরবরাহ করেন। তার সরবরাহ করা হাত বোমার মধ্য থেকে একটি যুবদলের সদস্য সোহেল খান ও অভি আজাদ চৌধুরীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর জজ কোট আদালতে বিস্ফোরণ ঘটায় ওয়ারীর আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী হাফসা আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৯:৪১   ১৪৪ বার পঠিত