শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে গোসাইরহাটে র‌্যালি ও আলোচনা

প্রথম পাতা » শিরোনাম » আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে গোসাইরহাটে র‌্যালি ও আলোচনা
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩



---

অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি,দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি” এ প্রতিপাদ্যে।আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) শরীয়তপুুর গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে বণ্যাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


প্রথম প্রহরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবির এর নেতৃত্বে একটি বণ্যাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সভাক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইকবাল কবির এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির সভাপত্বিতে।


মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. আবুল খায়ের, ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ নাজমুল হোসেন,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা,উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইকবাল কবির

আলোচনা সভায় অতিথিরা বক্তব্যে বলেন,‘দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।’ বলেন, ‘অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে সমন্বিতভাবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসসহ দুর্যোগ প্রশমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


‘বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে দুর্যোগের কারণ এবং বাঁচার উপায় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।


সাম্প্র্রাতিক সময়ে বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন বলেন, ‘ইদানিং বজ্রপাত খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। এক সময়, বাংলাদেশের প্রতিটি রাস্তায়, বাড়ির কোণায় কিংবা মসজিদের পাশে সব জায়গায় তালগাছ দেখা যেতো। ইদানিং তালগাছ নাই। তালগাছ কেউ লাগায় না। আগে প্রত্যেক বাড়ির সঙ্গে তালগাছ থাকতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তালগাছ বজ্রপাতের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে।


এসময় উপজেলার সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪০:৩০   ১৯৬ বার পঠিত