সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ, সরকার ঘোষিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৪২ দিন পর আগামীকাল রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমে ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে আজ ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তবে এই সময়ের মধ্যে জরুরি মামলা সংক্রান্ত বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে বেশকটি বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। এসব বেঞ্চে বিভিন্ন মামলায় শুনানি ও আদেশ হয়েছে।
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভেকেশন জজ মনোনিত করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। ভেকেশন জজ হিসেবে বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক বিভিন্ন মামলায় শুনানি নিয়ে আদেশ দিয়েছেন।
অবকাশকালীন ছুটি শেষে আগামীকাল ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে ৫৪টি হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। ১৭ অক্টোবর এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতি রয়েছেন ৬ জন। ২১ অক্টোবর সোমবার থেকে আপিল বিভাগে দুটি বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম চলবে।
আর হাইকোর্ট বিভাগে রয়েছেন ১০১ জন বিচারপতি। হাইকোর্টের বিচারপতিদের থেকে ৮৩ জন বিচারপতিকে দিয়ে ২৯টি ডিভিশন বেঞ্চ ও ২৫টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। কোন বিচারপতিদের কোন বেঞ্চ দেয়া হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নির্দেশিত ২০২৪ সালের ২৯৪নং বেঞ্চ গঠনবিধিতে বলা হয়েছে, ২০ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টা হতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য উল্লেখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘেরাও কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে কোর্ট পরিচালনার জন্য বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না বলে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত বুধবার বিকালে জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, বিচারপতিদের অপসারণের কোন বিধান এখন না থাকায় তাঁদের অপসারণের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউটি ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগে ১ নম্বর আইটেম হিসেবে শুনানির জন্য থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কোন ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না তা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জানাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৬:৫৪ ৭৯ বার পঠিত