যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মৎস্য ঘের লুট করেছিলেন- এমন অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় যে দুটি মামলা হয়েছিল, সেগুলো স্থগিত করেছেন আদালত।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ওই দুই ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত।
মামলায় হাজিরা দিতে দুপুরে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন সদ্য দেশে ফেরা সালাহউদ্দিন আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরাও।
শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ দুটি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। মামলা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, ঘটনা ২০০১ সালে সংঘটিত হলেও চকরিয়া থানায় মামলা করা হয় ২০০৭ সালে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই সালাহউদ্দিন আহমেদের নামে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। এ কারণে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম।শুনানি শেষে আদালত দুটি মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
আদালত থেকে বের হয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানিতে আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
২০০১ সালে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় মাছের ঘের লুটের অভিযোগ এনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের তৎকালীন এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে চকরিয়া থানায় আলাদা দুটি মামলা করেন মাহামুদুল হক নামে এক ব্যক্তি।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সালাহউদ্দিন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ জুন কক্সবাজারে গিয়েছিলেন তিনি। পরের বছর ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন।
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এরপর থেকে ভারতেই ছিলেন সালাহউদ্দিন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশে ফেরেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৮:২৬ ৭৩ বার পঠিত