বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’ অনুষ্ঠান জাহিন রাজিনকে অনুপ্রবেশকারী বললেন মাহফুজ

প্রথম পাতা » জাতীয় » ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’ অনুষ্ঠান জাহিন রাজিনকে অনুপ্রবেশকারী বললেন মাহফুজ
বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪



অনুপ্রবেশকারী জাহিন রাজিন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে মঞ্চে উঠেছিলেন এক তরুণ। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচারের পর তৃতীয় ওই তরুণের পরিচয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আয়োজিত ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে তরুণদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কথা জানান তিনি। বক্তব্যের এক পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের মঞ্চে ডাকেন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বর্তমানে তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি ও অপর এক তরুণ মঞ্চে ওঠেন। প্রথম দুজনের ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীর তালিকায় থাকলেও, তৃতীয়জনের নাম ছিল না।

এই তিনজন মঞ্চে গিয়ে বিল ক্লিনটনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে ড. ইউনূসের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই তরুণকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে দাবি করেছেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে যাওয়া একটি ছবিতে ওই তরুণকে দেখা গেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, তৃতীয় ওই তরুণ জাহিন রোহান রাজিন। হাইড্রোকো প্লাস-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ নন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী মাহফুজ আলম বুধবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে ক্লিনটন ইনিশিয়েটিভের (সিজিআই) অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠা ওই তৃতীয় তরুণকে অনুপ্রবেশকারী বা ইনট্রুডার (অনুপ্রবেশকারী) বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ। তিনি নিজ ব্যবস্থাপনায় ক্লিনটন ইনিশিয়েটিভের আয়োজনে যোগ দিয়েছেন। আমরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতাম না। তিনি ডেলিগেশন দলের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। স্যার যখন আমাদের মঞ্চে ডাকলেন, তিনি তড়িঘড়ি করে দাঁড়িয়ে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে ছুটে গেলেন।

সন্দেহ হলেও তার মঞ্চে যাওয়া আটকাতে পারেননি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার সন্দেহ হলেও তার মঞ্চে যাওয়া আমি আটকাতে পারিনি। উপস্থিত বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্যদের জন্য অসহায় বোধ করছিলাম।’

ভবিষ্যতে তারা আরও সতর্ক থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘এটা ছিল ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর একটি পূর্বপরিকল্পিত কাজ। আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৩:২৮   ৫২ বার পঠিত