মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন তিজো, বান্দরবান প্রতিনিধি :
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান শহরের রাজবাড়ীর মাঠ থেকে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্ছ এর সামনে গিয়ে জড়ো হয় আদিবাসী ছাত্র সমাজ। তারা ব্যানার ও প্লাক্যার্ড হাতে নিয়ে পাহাড়ী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।
সমাবেশে তারা বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড়ীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, কিছু কিছু দুর্বৃত্ত পাহাড়ীদের বাড়ীঘরে আগুন দিচ্ছে আর পাহাড়ীদের হামলা করছে। অনতিবিলম্বে খাগড়াছড়ির ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত সনাক্ত করে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যার সঞ্চালনায় বান্দরবান মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি অংশৈসিং মারমা, শিক্ষার্থী বিটন তঞ্চঙ্গ্যা,জন ত্রিপুরা,মাখ্যাই মারমা,টনয়া ম্রো’সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
গত বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বান্দরবান শহরে মশাল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে শত শত পাহাড়ী ছাত্রছাত্রীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর, খাগড়াছড়ি শহরের নোয়াপাড়া (নিউজিল্যান্ড) এলাকায় মো.মামুন নামে এক যুবককে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বের করেন। বিক্ষোভটি লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাঙ্গালীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। পরে বিকেলে একদল উত্তেজিত জনতা লারমা স্কয়ার এলাকার বাজারে আগুন দেয়। এতে ৫০টির বেশি দোকান পুড়ে যায়, এই ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হয়। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে আর পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০০:১৪ ৬৮ বার পঠিত