ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, দিল্লি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া না দিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সরকারের সাথে কাজ করে। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে ভারতে থাকা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বার্লিনে এক প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করেন। বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইবে। ভারত কি এমন অনুরোধ বিবেচনা করবে? জবাবে জয়শঙ্কর বলেছেন, আপনি জানেন যে, বাংলাদেশে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা স্পষ্টতই বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করছি। তবে আমরা আমাদের কাজ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে করি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা গণমাধ্যমে হাসিনার সম্ভাব্য প্রত্যর্পণের বিষয়ে আলোচনা করছেন, কেননা হাসিনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ১০০টির বেশি হত্যা মামলা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার সাথে সাথে তার সরকারেরও পতন হয়েছে। বর্তমানে হাসিনার সময়ে দায়িত্ব পালন করা বেশির ভাগ মন্ত্রী-এমপি পলাতক রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন মামলায় ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং এমপি।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঠেকাতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। এছাড়া তার ১৫ বছরের আমলে জোরপূর্বক গুম, ভিন্ন মত দমনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ভারত সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ৩:০৪:১৪ ৩৬ বার পঠিত