ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী। এ ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলাটি শুনানির জন্য সময় পিছিয়েছে আদালত।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় রিভিশন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন এ মামলায় নোটিশ ফেরত না আসায় রিভিশন শুনানির জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি রিভিশন মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপটারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে মামলা গ্রহণের প্রয়োজনীয় উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন আদালত। মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছিল তারা হলেন- ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাত, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালির এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে এবং সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মি. পিটার হাসকে উদ্দেশ্যে করে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। মুজিবুল হক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সমালোচনার সঙ্গে পিটার হাসকে ‘বিএনপির ভগবান’ বলে ব্যাঙ্গ করেন। হাসকে প্রাণে মেরে ফেলার- ‘জবাই করে খেয়ে ফেলবেন’ বলে হুমকি দেন। যা ৮ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, মুজিবুল হক পিটার হাসকে অশালীন ভাষায় ‘তোকে পিটানি দেব, বাঙ্গালি কত ফাজিল তুই জানিস না’ এমন মন্তব্যের পাশাপাশি তুচ্ছ তাচ্ছিল্যভাবে মন্তব্য করেছেন, যা হাজার কোটি টাকার মানহানির শামিল বটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২২:৪৩ ৫৪ বার পঠিত