ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রত্যাহার চান না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামী ২ সেপ্টেস্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে আপিলের ওপর আংশিক শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি দুদক ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী গত ১১ আগস্ট প্রত্যাহার করে নেয়।
আর অ্যাটর্নি জেনারেল কোর্টে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে করা কোনো মামলা প্রত্যাহার করতে চান না। এটা উনি (প্রধান উপদেষ্টা) চাননা। উনি আইনসম্মত ভাবেই এটা করতে চান।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করতে চান। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পক্ষে কোনো অভিযোগও নেই। তার বিরুদ্ধে করা মামলা যে প্রত্যাহার হয়েছে তাও জানতেন না তিনি।
এ সময় দুদক আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, “আইন অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়নি।
বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা কি তবে জুডিশিয়াল অ্যানার্কি।
এর পরই আদালত আগামী সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত করেন। সেদিন মামলাটি প্রত্যাহার করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র আইনজীবীকে উপস্থাপন করতে বলেন আপিল বিভাগ।
এর আগে মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। গত ১২ জুন মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫০:০৯ ৪৫ বার পঠিত