৫ই আগস্ট দুপুরে গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর এখন পর্যন্ত তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। সেনাপ্রধান বৈঠক করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে। পরে প্রেসিডেন্টও একাধিক বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ ও সংসদ ভেঙে দেয়ার পর এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চান প্রেসিডেন্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বগ্রহণ করতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা তখন জানান, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে এবং রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন বলে বিশেষ রেফারেন্সের (১/২৪) মাধ্যমে আপিল বিভাগ মতামত দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি আসে। ওই চিঠিতেই রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত জানতে চান। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা, প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের নিয়োগ এবং শপথ পাঠ করানো যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা হলে রাষ্ট্রপতি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারবেন এবং ওই বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১:২২:০৬ ৪৬ বার পঠিত