রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও লেগুনার রুট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কামাল হোসেন।
মোহাম্মদপুর থানা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজেল গাজী তাঁর পাঁচ সহযোগীকে দিয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে কামালকে কুপিয়ে হত্যা করে। গত মঙ্গলবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রথমে তাজেলের সহযোগী সুজনকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন সুজন। পরে তাঁর জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার রাতে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গ্রেপ্তার বাকি পাঁচ আসামি হলেন শ্রমিক লীগ নেতা তাজেল গাজী, তাঁর সহযোগী ইকবাল হোসেন, শাকিল, রাকিব ও মো. ইব্রাহিম। হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, মোহাম্মদপুর কাটাসুর এলাকার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা কামালকে গত ২৯ জুলাই রাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন তাঁর বাবা আলম চাঁন মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে সুজন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের।
ডিসি আজিমুল হক বলেন, তাজেল বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ তিন রাস্তা এলাকায় লেগুনাস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এ ছাড়া এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গেও তাজেল জড়িত। লেগুনাস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কামালের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তাজেল টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩২:৩১ ৭০ বার পঠিত