রাজধানীর মিরপুর থানায় নাশকতার মামলায় ১৬ বছর ১০ মাস বয়সী কলেজশিক্ষার্থীকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে তাকে হাতকড়া পরিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেয় পুলিশ।
পরে শিশুটির আইনজীবী আদালতে জন্মসনদ জমা দেন। তাকে শিশু হিসেবে গণ্য করে মামলাটি শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৮ শিশুটিকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া ছেলেটির জন্মসনদ অনুযায়ী বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। তবে মিরপুর থানা-পুলিশ তার বয়স ১৮ বছর উল্লেখ করে এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নিয়েছে। পরে শিশুটির আইনজীবী আদালতে জন্মসনদ জমা দিয়ে তাকে শিশু হিসেবে গণ্য করে মামলাটি শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৮ শিশুটিকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই কলেজছাত্র বলেন, তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। মিরপুরের একটি হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। সোমবার দুপুরে তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর–১০ গোল চত্বরে যায়। তখন পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। সে বারবারই বলেছিল, গত বছর সে মাধ্যমিক পাস করেছে। তার বয়স ১৮ বছর না।
গতকাল শিশুটিকে যখন আদালত কক্ষে আসামির কাঠগড়ায় রাখা হয়, তখনও তার হাতে হাতকড়া ছিল। শিশুটি বারবারই বলছিল, সে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত।
শিশুটির আইনজীবী মোহাম্মদ মইন উদ্দিন জানান, তার মক্কেল কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। আইন অনুযায়ী, সে শিশু। আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর বিচার কখনো পূর্ণবয়স্ক আসামির সঙ্গে হওয়ার সুযোগ নেই। শিশুদের মামলার বিচার হবে শিশু আদালতে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, যখন ওই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন সে নিজের বয়স ১৮ বছর বলেছিল। এ জন্য মামলার প্রতিবেদনে তার বয়স ১৮ দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৯:১৯ ৮৯ বার পঠিত