রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় পাঁচবার রায় পেছানোর পর আবার তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল।
এ আদালতের পেশকার বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের পঞ্চম তারিখে এসে বিচারক মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রথমে রায়ের জন্য ২১ জানুয়ারি তারিখ দিয়েছিলো আদালত। ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করা হয়। সেদিনও একই কারণে তা পিছিয়ে ৩ মার্চ ঠিক করা হয়। পরের দফায় রায় পিছিয়ে তারিখ পড়ে ৯ এপ্রিল। তারপর ৩ জুন নতুন তারিখ রাখা হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার রায় হওয়ার কথা থাকলেও বিচারক মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাদের অপমান করে। ওই অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যা করে।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ নাজনীন ও জিনাতকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।
সেখানে বলা হয়, আসামিদের ‘নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণ’ অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।
মামলার এজাহারে অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাও আসামি ছিলেন। তবে অভিযোগপত্রে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তারের বিচার শুরু করে আদালত। মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ৬:৩৯:১২ ১০২ বার পঠিত