অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ড্রিম লাইভ। এই অ্যাপ ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও লাইভ দেখানোর নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাচার করেছে একটি চক্র। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চক্রটি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ভারত থেকে। আর ড্রিম লাইভে এই পর্নো চক্রের বাংলাদেশি এজেন্ট ছিলেন সিলেটের আবু মুসা ইমরান আহমেদ সানি। চক্রটি এই অ্যাপের মাধ্যমে পর্নো ভিডিও দেখিয়ে দেশ থেকে ৯৪ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৬ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে ইমরানসহ তাঁর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাও হয়েছিল। বর্তমানে সব আসামি জামিনে থাকলেও ইমরান পলাতক। সম্প্রতি ওই মামলায় ইমরানসহ তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ইমরানের বিরুদ্ধে সিআইডিকে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করতে চিঠি দিয়েছে তদন্ত সংস্থা ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগ।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, ইমরানের চক্রে জড়িত বেশ কিছু লোকের নাম পাওয়া গেছে। ইমরানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করত রাঙামাটিতে আবুশামা ফায়সাল, মুন্সীগঞ্জে সেলিম মিয়া, নোয়াখালীতে শাহ আরমান, রংপুরে আক্তার হোসেন সোহেল, গাইবান্ধায় ফাতেমা আক্তার, বরিশালে শায়লা আক্তার শিমুল ও বাগেরহাটে এইচ এম ঝলক ওরফে সাইফুল। তারা ছদ্মনামে ড্রিম লাইভ অ্যাপে আইডি খুলে বিভিন্ন মানুষের কাছে ভার্চুয়াল গেম কয়েন এবং ড্রিম লাইভ ডায়মন্ড কয়েন বিক্রি করত। গ্রেপ্তারের সময় চক্রের সদস্যদের তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল, ২টি ল্যাপটপ এবং অর্থ লেনদেনে ব্যবহৃত ১৭টি সিম জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ৩:৪৮:৩৩ ৫৫ বার পঠিত