বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

এমপি আজীম হত্যা আসামি বাবুর মোবাইল ফোন উদ্ধারে ডিবির দল যাচ্ছে ঝিনাইদহে

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » এমপি আজীম হত্যা আসামি বাবুর মোবাইল ফোন উদ্ধারে ডিবির দল যাচ্ছে ঝিনাইদহে
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪



সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু।

কলকাতায় নৃশংসভাবে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুর তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে ঝিনাইদহে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দল। স্থানীয় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া ওই ফোনগুলো দিয়েই বাবু আরেক আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেছিলেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন উদ্ধার অভিযানে কামাল আহমেদ বাবুকেও সঙ্গে নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট।

এদিকে আদালতের নির্দেশনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে পুলিশ ভ্যানে তাঁকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ঝিনাইদহের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে মোবাইল ফোনগুলো জলাশয়ে ফেলার কথা বেরিয়ে আসে। এ কারণে বাবুকে সঙ্গে নিয়ে আলামত উদ্ধারে চেষ্টা চালানোর অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। বাবুর জবানবন্দি অনুযায়ী, এক নেতার নির্দেশে তিনি আশপাশের কোনো নালা বা পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। পানি থেকে আলামত উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও জেলেদের কাজে লাগানো হবে। স্থানীয় পুলিশ জলাশয়গুলো নজরদারিতে রেখেছে, যাতে কেউ ফোন সরিয়ে ফেলতে না পারে।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে বাবু দাবি করেন, মোবাইল ফোনগুলো হারিয়ে গেছে। তিনি এ ঘটনায় জিডি করেছেন। পরে নতুন তথ্য উঠে আসে– ওই ফোনগুলো দিয়েই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে বারবার কথা বলেছেন বাবু। অসংখ্য মেসেজ আদান-প্রদান করেছেন। তাই সেগুলোতে ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। ভারতের কাছেও শাহীন মোস্ট ওয়ান্টেড। তাই শাহীনকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত চেষ্টা করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, তদন্ত চলমান থাকায় এখনই কে দোষী আর কে নির্দোষ, তা বলা যাচ্ছে না। তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না। আবার কোনো দোষী ব্যক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৩:৪৯   ১০৯ বার পঠিত   #  #