হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ মে) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উত্তরা জোনাল টিমের পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এদিন ধার্য করেন।
আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, শাহিদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মাসুম রানা, সিপাহী মোজাম্মেল হক, নিয়ামত হাওলাদার, রেজাউল করিম ও আফজাল হোসেন।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় সোনা চুরির ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার যার ওজন ৮.০২ কেজি ও ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে আটক ৩৮৯টি ডিএম বার যার মোট ওজন ৪৭.৪৯ কেজি সোনা আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কে বা কারা বর্ণিত সোনার বার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করেছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এই গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত সোনার হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:২০ ৯৩ বার পঠিত