মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন তিজো, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
বান্দরবানে রুমা ও থানচি উপজেলায় তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রুমায় সোনালী ব্যাংক শাখা পরিদর্শনের পর বান্দরবানের সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা একসময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতির মত বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। এর আগেও এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে। এসব কার্যক্রম আমরা আন-চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব না। এদের পিছনে কোন ইন্ধন আছে কিনা তাও বের করে নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ডাকাতির মত এ ঘটনায় কোন সংস্থা দায়িত্ব পালনে তাদের কোন ঘাটতি গাফিলতি ছিল কিনা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া এ ঘটনায় গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা থেকে থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এসময় মন্ত্রী সোনালী ব্যাংক, পুলিশ ব্যারাকসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।
আজ বেলা ১১ টায় রুমা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, আনসার ব্যারাক, সোনালী ব্যাংক ও মসজিদ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরে বেলা সাড়ে ১২টায় বান্দরবান সদরের সার্কিট হাউসে আয়োজিত জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দুই ঘন্টাব্যাপী রুদ্ধদার মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, বান্দরবান একসময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতি,অস্ত্র লুট ও অপহরণের মত বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে।
এর আগেও এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে। এসব কার্যক্রম আমরা আন-চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব না।
এদের পিছনে কোন ইন্দন আছে কিনা তাও বের করে নেয়া হবে এবং ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক ডাকাতির মত এ ঘটনায় কোন সংস্থা দায়িত্ব পালনে তাদের কোন ঘাটতি বা গাফিলতি ছিল কিনা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং বর্তমান সরকার জনগণের সরকার জনগণ চাইলে কেএনএফের এর সাথে আবারো শান্তি প্রতিষ্টা কমিটির সংলাপ হতে পারে। তবে কোন কোন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি হতে দেওয়া যাবেনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব (সেবা)। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন,বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী,ৱ্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) মাহাবুবুর রহমান, আনসার ভিডিপি”র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার মোঃ মেহেদি হাসান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ৪:১৩:১০ ৭৩ বার পঠিত