স্বপন সওদাগর জয়পুরহাট :
জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক দালালের ফাঁদে পড়ে তাজিকিস্তানে যেতে পারলো না ছয় যুবক। বিদেশে যেতে না পেরে বিমান বন্দর থেকে ফিরে অভিযুক্ত দালাল সুলতান মাহমুদ মাবুদের বড়িতে অবস্থান নিয়েছেন ভুক্তভোগী যুবকেরা।
অবস্থান রত যুবকরা হলেন,কালাই উপজেলার পাঁচ গ্রামের আতিকুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ, আলামিন তালুকদার, মোলামগাড়ীর হাটের মেহেদী হাসান, ও জিন্দাবাদ পুর গ্রামের আবু তাহের।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ছয় যুবক -কেউ জমি বন্ধক রেখে, কেউ স্থানীয় সমিতি বা এনজিও থেকে লোন নিয়ে, কেউ চড়াসুদে,দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে, কেউ গরু বিক্রি করে আবার কেউ গহনা বন্ধক থুয়ে ছয় যুবক পাঁচ লাখ করে টাকা দিয়েছিলেন একই উপজেলার জিন্দাপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের স্থানীয় আদম ব্যবসায়ী দালাল সুলতান মাহমুদ মাবুদের নিকট।
তার কথা মত গত মার্চ মাসের ২২ তারিখে তাদের ফ্লাইট ছিল। পরিবারের নিকট বিদায় নিয়ে দুই দিন আগে ২০ মার্চ দালান মাহমুদের সাঙ্গে তাজিকিস্তান দেশে যাওয়ার জন্য ঢাকায় যান তারা। ২২ মার্চে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুয়া ভিসার কারনে ছয় যুবককে আটকিয়ে দেওয়া হয়।
এর পর দিশেহারা হয়ে ছয় যুবক পাওনাদারদের পাওনা টাকা কেমন করে পরিশোধ করবে এই ভেবে ঐ প্রতারকের বাড়িতে অবস্থান নেয় এবং ১০ দিন যাবত মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। এঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পরলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সমগ্র এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অবগত হয়ে তাদের থানায় অভিযোগ করতে বলেন।
অপর দিকে পলাতক দালাল সুলতান ভুক্তভোগী পরিবার কে মোবাইলে নানা রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন,পাওনাদারদের পাওনা টাকার ভয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন না তারা।
টাকা ফেরত এবং দালাল সুলতানের কঠোর শাস্তি দাবি এলাকাবাসী,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছয় যুবক সহ তাদের পরিবারের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়,এবং ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বল হয়। কিন্তু তারা অভিযোগ করেনি,তাদের বক্তব্য হচ্ছে, তারা টাকা বুঝে না পেলে প্রতারক সুলতানের বড়িতে অবস্থান করবেন।
প্রশাসন কতৃপক্ষ জানান অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৫:৩৯ ১৬৪ বার পঠিত