কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের পুলেরঘাটে কাবাডি খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেই সংঘর্ষ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কটিয়াদি উপজেলার গচিহাটা সড়কে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ থেমে থেমে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসের ৪ তারিখে স্থানীয়ভাবে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। এ খেলায় কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ভিটিপাড়া এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের আদর্শপাড়ার লোকজনদের মারামারি হয়। এই বিরোধের জেরে গতকাল শুক্রবার রাতে দুপক্ষের আবারও মারামারি হয়। আজ শনিবার সকালে এ বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশ আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় এমপি নূর মোহাম্মদের অনুসারী আলম ও একই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ গ্রুপের জামানের নেতৃত্বে আবারও সালিশের আগেই দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ৩ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দোকানপাট এবং পুলেরঘাট-গচিহাটা সড়ক যাহবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাইরকাদি-নয়াপাড়া-ভিটিপাড়া ও আদর্শপাড়া-পুলেরঘাট গ্রামবাসীর মাঝে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ থেমে থেমে প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহহার আকন্দের অনুসারী জামান জানান, অনেক কিছুই তো বলা যায় না। প্রথমে খেলা নিয়েই মারামারি হয়। পরে তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে এমপি নূর মোহাম্মদের অনুসারী আলমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের অনুসারী আলমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
পাকুন্দিয়া আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৭:৫৯ ১৩১ বার পঠিত