চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খান মিতু হত্যা মামলার মো. মহিউদ্দিন পারবেজ নামে একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা এলাকার বিকাশের দোকানি।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।
এদিন মিতুর স্বামী ও মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল (সোমবার) একই আদালতে মামলাটিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দুই কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
তারা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক ও পিবিআই ঢাকা কার্যালয়ের ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আবদুল বাদী এবং একই সংস্থার চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহাব উদ্দিন।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশীদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় আজ (মঙ্গলবার) আরও একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরাও সম্পন্ন করেছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ,ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকারীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইম থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়েল করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালাত।
এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়েল করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অদিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫০:৪৩ ১৭৮ বার পঠিত