দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এসব আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন আইনজীবী, যারা দ্বাদশ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচিত আইনজীবীরা হলেন- ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ, অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট সেলিম মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এবং অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন।
রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আবার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসাবে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিলনবম সংসদে স্পিকার নির্বাচিত হন। দশম ও একাদশ সংসদেরও স্পিকার ছিলেন। ১০ জানুয়ারী ২০২৪ এ আওয়ামীলীগের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দ্বাদশ সংসদও স্পিকার হিসাবে মনোনয়ন দেয়া । সে হিসাবে দ্বাদশ সংসদের স্পিকার হচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। শিরীন শারমিন চৌধুরী একজন কমনওয়েলথ স্কলার।২০০০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিলো সংবিধানিক আইন ও মানবাধিকার।
এলএলএম পাশ করার পর তিনি ১৯৯২ সালেই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তার ১৫ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি সুপ্রিম কোর্টে
র সিনিয়র আইনজীবী। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-০২ আসনে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পাঁচ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। একাদশ জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পিরোজপুর-১ আসনে আবারও বিজয়ী হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। একাদশ জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম।
সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বিজয়ী হয়েছেন।
হবিগঞ্জ–৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনে চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
স্থানীয়ভাবে ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ব্যারিস্টার সুমন এক লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য মাহবুব আলী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ভোট।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন ২০২১ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে বহিষ্কার হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতি দিয়ে তিনি নেটিজেনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল।
নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) সংসদীয় আসনে টানা চতুর্থ বারের মতো জয় লাভ করেন অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
একাদশ জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া)আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক চতুর্থ। বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছে ডা. দীপু মনি।
একাদশ জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের ওপর পড়াশোনা করেন ডা. দীপু মনি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও আইন পেশায় নিয়মিত নন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাথিয়া-বেড়া) আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৪৩ ভোট।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে দ্বিতীয় বারের মতো অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন নির্বাচিত হয়েছেন।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট।
চাঁদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ড. সেলিম মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
ড. সেলিম মাহমুদ ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করলেও কিছুকাল তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করে যান। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই অনুষদে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানেও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারের এনার্জি এন্ড রেগুলেটরি কমিশন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে ট্রাইবুনালের সদস্য হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মুজিবুল হক চুন্নু বিজয়ী হয়েছেন । তিনি বর্তমানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৬ আসনে স্বতন্ত্র (ট্রাক প্রতীক) প্রার্থী অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন ৭৬৭১৭ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
লালমনিরহাট ৩ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।
সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনে বেসরকারিভাবে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হলেন সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক সাবেক ডিআইজি ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এ কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়েছে।
সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা কমছে। উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনসহ মোট ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে আইনজীবীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫১ জন (১৪.৫৭ শতাংশ)। একাদশ জাতীয় সংসদে আইনজীবী ছিল ১৩ শতাংশ। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত নির্বাচিত আইনজীবীর সংখ্যা বিশ্লেষণ করতে দেখা যায়, তা আশঙ্কাজনক হারে কমে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আইন প্রণয়নে সরকার যদিও উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করে কিন্তু সংসদের সম্মতি ব্যতীত কোনো আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। সংসদে বিল আকারে উপস্থাপিত একটি আইন প্রণয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে একজন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগতভাবে প্রস্তাবে গুরত্বপূর্ণ সংশোধনী এনে আইন প্রণেতা হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছিলেন, জাতীয় সংসদে প্রথিতযশা আইনজীবীদের সংখ্যা কমে আসছে এবং এ অবস্থা চলতে থাকলে সংসদে আইনের পরিবীক্ষণের জন্য বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে আইনজীবীদের সংসদে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছিলেন, জাতীয় সংসদে আইনজীবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে।
তবে আইনজীবীদের অভিযোগ, আগের সংসদগুলোতে আইনজীবীদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে দলগুলো থেকে আইনজীবীদের মনোনয়ন কম দেওয়া হচ্ছে।
সংসদ সদস্যদের মূল কাজ আইন প্রণয়ন হলেও সংসদে পেশাগতভাবে আইনজীবীর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন সম্পর্কে যাঁরা জ্ঞান রাখেন, তাঁদের আইনপ্রণেতা হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১১:৫৯ ২১৯ বার পঠিত