বরগুনায় একটি পোষ্য মা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে। বরগুনা সদর উপজেলার খাকবুনীয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও প্রায় শতাধিক কুকুর হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুকুরটির মালিক আনিছুর রহমান বাদী হয়ে প্রাণী কল্যাণ আইন ও বন্যপ্রণী সংরক্ষণ আইনে বরগুনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের বিচারক মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর ইউনিয়নের খাকবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা রাকিব পঞ্চায়েত (৩০), মাওলা পঞ্চায়েত (৪৮) এবং আবু পঞ্চায়েত (৫৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আসামিরা মিলে এক বছরে প্রায় শতাধিক কুকুর ফাঁদ পেতে হত্যা করেছেন। মামলার দুইদিন পূর্বে ওই এলাকার খবিরুদ্দিন ও খলিলের দুটি পোষ্য কুকুর ফাঁদ পেতে হত্যা করেন তারা। এর মধ্যে খলিলের কুকুরটি গর্ভবতী ছিল। পরবর্তী সময়ে মামলার বাদী আনিছুরের পোষ্য কুকুরটি অভিযুক্তদের দড়ি দিয়ে তৈরি করা ফাঁদে আটকে যায়। পরে লোহার টেটা দিয়ে কুকুরটিকে হত্যা করা হয়। এসময় ভুক্তভোগী মামলার সাক্ষীরা নিষেধ করেন। এমনকি কুকুরটির ৫টি দুগ্ধপোষ্য ছানা রয়েছে বলার পরেও তারা হত্যা থামাননি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী কুকুরটির মালিক আনিছুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ফাঁদ পেতে কুকুর হত্যা করছেন। আমার পোষ্য কুকুরটিকে হত্যা করায় কুকুরটির ছোট ৫টি বাচ্চার একটি বাচ্চা না খেয়ে মারা গেছে। বাকি ৪টি বাচ্চাকে বোতলে করে দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছি। এছাড়া তিনি আরও বলেন, নির্মমভাবে কুকুর হত্যা করতে নিষেধ করলেও তারা শোনেননি। বিষয়টির সমাধান পেতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বলার পরেও থামেনি অভিযুক্তরা। উল্টো কুকুর হত্যার বিষয়ে থানায় মামলা করতে বলেন তারা।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী নেপোলিয়ন বলেন, অভিযুক্তদের নিষেধ করার পরেও তারা কুকুর হত্যা বন্ধ করেননি। মামলার ঘটনাটি আদালত আমলে নেওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৪:০৫ ১৫৬ বার পঠিত