সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ইকবাল নগর গ্রামে এক কিশোরিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নির্যাতিত পরিবার ন্যায়বিচারের দাবীতে সুনামগঞ্জ জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নারী ও শিশু নির্যাতন পিটিশন মোং নং-৩৩৭/২০২৩ ইং মামলা দায়েরের পর থেকেই বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও ধর্ষনের চেষ্টা ও আহত করার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বাদী পক্ষকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দিবে বলে লোকজন লাগিয়েছে আসামীরা। নগদ ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত হুমকি দামকি অব্যাহত রেখেছে বিবাদীগন বলে জানায় নির্যাতিত পরিবার । অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ঘটনাটি ঘটে গত ২৩আগষ্ট ২০২৩ইং রোজ বুধবার সকালে শহরের ইকবাল এলাকায় বাদীর বসত ঘরের সামনে। জানা যায় ঘটনার দিন সকালে ধর্ষণের চেষ্টার কিশোরী মেয়েটি প্রতিদিনের ন্যায় তার ছোট ভাই সুলতানকে মাদ্রাসায় নিয়ে যায় এবং মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসে। ঐ কিশোরীকে যাওয়া আসার পথে একই এলাকার বাসিন্দা কুরফান আলীর পুত্র লম্পট আসকর আলী(২৫) দীর্ঘ দিন যাবৎ কিশোরী মেয়েটিকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবন করে মেয়েটির রাস্তা অবরোধ করে অশালীন আচরন করে। লম্পট আসকর আলীর এমন আচরনের বিষয়ে আসকর আলীর পরিবারের কাছে বিচার প্রার্থী হলে আসকর আলীর পিতা কুরফান আলী ও মাতা সাহেদা বেগম মেয়েটির প্রতি উল্টো কিপ্ত হয়ে লম্পট ছেলে আসকর আলীকে হুকুম দিয়ে বলে কিশোরী মেয়েটির ইজ্জত নষ্ট করার জন্য। ঘটনার দিন সকালে নির্যাতিত কিশোরী তার ছোট ভাই কে মাদ্রাসা নিয়ে যাওয়ার পথে লম্পট আসকর আলীর বাড়ির সামনে যাওয়া মাত্রই তার বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ঐ কিশোরীর চুলের মুঠোয় ধরে টেনে হেচরে তার ঘরের ভিতর নিয়ে যায় এবং মেয়েটিকে একটি রুমে দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটি চিৎকার দিতে থাকিলে মেয়েটির নাকে মুখে কিল-ঘুষি মারিতে থাকে এবং মেয়েটির জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে লম্পট আসকর আলী। মেয়েটির চিৎকার শুনে পাশের বাড়ি থেকে মেয়ের মা রফিকুল নাহার এবং এলাকাবাসি আগাইয়া আসিলে লম্পট আসকর আলী মেয়েটিকে নাকে মুখে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। এসময় লম্পট আসকর আলীর মা সাহেদা বেগম ও বাবা কুরফান আলীর নিকট মেয়ের মা রফিকুল নাহার বিচার প্রার্থী হলে আসকর আলীর মা এবং বাবা মেয়ের মাকে ও মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েটিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে জখমের চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্তহয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিমের মা রফিকুল নাহার বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী আসকর আলী(২৫)কে প্রধান এবং কুরফান আলী(৫০), ও সাহেদা বেগম(৪৫)কে আসামী করে আদালতে মামলা দসয়ের করেন। মাননীয় আদালত বিষটি সঠিক ভাবে তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানাকে নির্দেশ প্রধান করেন। বর্তমানে মামলাটি সদর মডেল থানায় তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান ভিকটিমের মা রফিকুল নাহার।
তিনি বলেন আমি অসহায় গরীব মানুষ আমার মেয়ের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে আমি এর ন্যায় বিচার চাই। মামলা করায় বিবাদীরা আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনদের মামলা তুলার জন্য হুমকি দামকি দিয়ে আসছে। পুলিশের কাছে বার বার গিয়েছি অনেক দিন হয়ে গেল এখনো ন্যায় বিচারের কোন আশ্বাস পাইনি প্রশাসনের কাছে আমি বিচার চাই।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাহেদা বেগম ও কুরফান আলী ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান আমরা ত্রিশ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে রাজি আছি আমার ছেলে দোষ করেছে তাই আমরা ত্রিশ হাজার টাকা দিব যদি মামলা তুলে নেয় বলে জানান। প্রশাসনের সহযোগিতা আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন
ভিকটিমের পরিবার এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন নির্যাতিত পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০১:৫৬ ১৫৮ বার পঠিত