নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল শুনানি ১২ নভেম্বর

প্রথম পাতা » শিরোনাম » নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল শুনানি ১২ নভেম্বর
সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩



---

দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানীয়া আমীর ও আহসানুল করীম। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান।

পরে তানীয়া আমীর জানান, আমাদের আদালত অবমাননার ও নিষেধাজ্ঞার আবেদন ছিল। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মুলতবির একটি আবেদন আছে। ওনাদের আইনজীবীর ব্যক্তিগত সমস্যা। আমি আদালতকে বললাম আদালত অবমাননার আবেদন আগে শুনানির জন্য। আদালত বললেন, হাইকোর্টের রায়ের অবমাননা?। আমরা তখন বললাম, হ্যাঁ। তখন আদালত বললেন, পুরো হাইকোর্টের রায় দেখতে আমাদের সিপি (লিভ টু আপিল) শুনতে হবে। ১২ তারিখ মূল মামলাটাই শুনে ফেলি।

এই আইনজীবী আরও বলেন, তখন আমরা বললাম ইন দ্য মিন টাইম (১২ তারিখ পর্যন্ত) আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখেন। কারণ তারা নাশকতা করছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। আদালত বলেছেন, অসুবিধা নেই, চিন্তা করবেন না, ১২ তারিখ কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে। তখন আমি বললাম আপনাদের অসীম ধৈর্য আছে। আদালত বললেন, মূল মামলার শুনানি হয়ে যাবে।

তানীয়া আমীর বলেন, এটা একদিক দিয়ে ভালো হয়েছে। কারণ পুরো বিষয়টা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। এছাড়া আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সমাবেশ করে রেজিস্ট্রেশন দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনের শুনানির জন্যও এ দিন ধার্য করা হয়।

গত ২৬ জুন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

এ ছাড়া আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সমাবেশ করে রেজিস্ট্রেশন দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে পৃথক আরেকটি আবেদন করেন মাওলানা রেজাউল হক চাঁদপুরী। এটিও দাখিল করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

এই আবেদনের পর ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছিলেন, আমরা দুটি আবেদন করেছি। একটা হচ্ছে হাইকোর্টের রায় বলবৎ থাকার পরও ১০ বছর পরে জামায়াত কর্মসূচি পালন করেছে। আমরা জামায়াতের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। আরেকটি আদালত অবমাননার। কারণ তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে, যেখানে আদালত অবমাননার বিষয় আছে। অথচ হাইকোর্টের রায়ে তাদের নিবন্ধন অবৈধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১২:১৩   ১৫০ বার পঠিত  




শিরোনাম’র আরও খবর


লালমোহনে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে সভা
স্বামী হত্যার মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
বাগেরহাট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩ জন রিমান্ডে
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন
ভোলার লালমোহনে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নওগাঁর ধামুইরহাটে শিক্ষককে নির্যাতনের বিচার এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
আমরা বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসিঁ ফোটাতে চাই - মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
মাদারীপুরে থানায় ডিউটিতে ফিরেছে পুলিশ সদ্যসরা
লালমোহনে সড়ক পরিষ্কার ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ