কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলায় আসামি আলমের জামিন স্থগিত

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলায় আসামি আলমের জামিন স্থগিত
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩



কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৬০) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মো. আলমের জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী  বলেন, গত ১৯ অক্টোবর মো. আলমকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে তার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে মো. আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর কুসিকের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রুমন।

মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার শাহ আলম।

অন্য আসামিরা হলেন, নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে জেল সোহেল, সুজানগরের রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার কানু মিয়ার ছেলে সুমন, সংরাইশের কাকন মিয়ার ছেলে সাজন, তেলিকোনার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রকি, সুজানগরের জানু মিয়ার ছেলে আলম, একই এলাকার নুর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, সংরাইশের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম, নবগ্রামের সামছুর হকের ছেলে সায়মন ও সুজানগরের কানাই মিয়ার ছেলে রনি। তাদের মধ্যে সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার পেটে দুইটি গুলি লেগেছিল।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা মাদক ব্যবসা করেন। কাউন্সিলর সোহেল বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল পাথুরিয়াপাড়ায় তার অফিস সংলগ্ন থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজ নামের এক রড-সিমেন্টের দোকানে বসে ছিলেন। সেসময় আসামিরা কালো পোশাক পরে প্রবেশের পর এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এসময় এক থেকে চার নম্বর আসামি এলোপাতাড়ি গুলি করেন।

এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউন্সিলর সোহেল চেয়ার থেকে নিচে পড়ে যান। তারা মৃত্যু নিশ্চিত করতে সোহেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করেন। কাউন্সিলর সোহেলকে বাঁচাতে হরিপদ সাহা এগিয়ে এলে তার পেটে গুলি করেন সাত নম্বর আসামি আলম ও নয় নম্বর আসামি মাসুম। তারা এই দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে শাটার বন্ধের পর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এরপর লোকজন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহাকে উদ্ধার করতে এলে আট নম্বর আসামি জিসান, ১০ নম্বর আসামি জিসান ও ১১ নম্বর আসামি মনির তাদের গুলি করেন। এতে এক থেকে পাঁচ নম্বর সাক্ষী বাদল, রাসেল, জুয়েল, রিজু ও সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হন। আসামি সাব্বির ও সুমন কাঁধ ব্যাগ থেকে ককটেল ও অন্য আসামিরা গুলি ছুঁড়ে পানুয়া খানকা (দরবার শরিফ) দিয়ে উত্তর দিকে চলে যান।

কাউন্সিলর সোহেলকে এলোপাতাড়ি নয়টি গুলি করেন ঘাতকরা। হামলাকারীদের পিস্তলের দুইটি গুলি সোহেলের মাথা, দুইটি বুক এবং অন্য পাঁচটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৭:৩৮   ১৫০ বার পঠিত  




প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


আয়নাঘরের আদ্যোপান্ত: পর্ব ১৩
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী
জঙ্গিবাদে অর্থদাতা নিষিদ্ধ এনজিও চালাতেন মনিরুল!
রাশেদ খান মেনন ফের ৩ দিনের রিমান্ডে
সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ গ্রেফতার
গভীর রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তল্লাশি
ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ মানেই আসামি নয়: চিফ প্রসিকিউটর
উত্তরা-যাত্রাবাড়ী-আশুলিয়া গণহত্যার বিচার আগে হবে: চিফ প্রসিকিউটর
আয়নাঘরের আদ্যোপান্ত: পর্ব ১২
জাহিদ মালেক পরিবারের ৬০০০ শতাংশ জমির খোঁজ

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ