রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় হওয়া সাইবার অপরাধ ও মিসিং জিডির কপি সংগ্রহ করতেন প্রতারক চক্রের সদস্য ফখরুল ইসলাম বিজয়। পরে ভুক্তভোগীকে কল করে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) এএসপি পরিচয়ে সমাধানের টোপ ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।
এমন প্রতারণার ঘটনায় হওয়া মামলায় রোববার নারায়ণগঞ্জের পূর্ব লামাপাড়া এলাকা থেকে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
আজ সোমবার সিটিটিসির সিটি-স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের উপ-কমিশনার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ২৩ অক্টোবর আল-আমিন ঢালীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আল-আমিন ঢাকার গুলশান থানার একটি জিডি করেন। পরের দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর হোয়াটসঅ্যাপে জিডির কপি পাঠিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন তারা। প্রতারক চক্রের সদস্য ফখরুল জিডির সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে তার কাছে টাকা দাবি করেন। প্রথমে আল-আমিন ২ হাজার ১৯০ টাকা দেন। এর পর দফায় দফায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। সবশেষ জিডির সমস্যা সমাধানে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করলে আল-আমিনের সন্দেহ হয়। পরে টাকা দেওয়া বন্ধ করলে প্রতারক ফখরুল তার ভুয়া ছবি—ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ৬ ডিসেম্বর গুলশান থানায় প্রতারণার ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগী আল–আমিন।
উপ-কমিশনার আরও বলেন, ফখরুল প্রতারণার মাধ্যমে থানায় অথবা অনলাইনে দায়ের করা মিসিং জিডির কপি সংগ্রহ করতেন। পরে নিজেকে এএসপি পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফেসবুকে পাঠানো ছবি–ভিডিও পাঠানো চক্রের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে কি-না জানা যায়নি। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত ফখরুলকে কারাগারে পাঠান। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০:২৩:৩৯ ২০ বার পঠিত