কুষ্টিয়ার খোকসার হেলালপুর গ্রামের বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ চন্দ্র। অর্থঋণ আদালতের মামলায় তার ৪০ বছরের আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হলো। দীর্ঘ সময় তাকে কাটাতে হয়েছে আদালতে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ২০ লাখ টাকা খরচা প্রদান করতে ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে এই অর্থ হরেন্দ্রনাথকে দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বলেছে আদালত। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক হরেন্দ্রনাথকে অহেতুক হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করে। ইচ্ছে করে মামলাটি দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমাদের দেশে ভুয়া ও মিথ্যা মামলা এমনভাবে হচ্ছে, এসব মামলা বন্ধ করার জন্য ক্ষতিপূরণের আদেশ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে হরেন্দ্রনাথ বলেন, এ মামলা চালাতে গিয়ে ১৪ বিঘা ফসলি সম্পত্তি চলে গেছে। ভিটে-মাটি চলে গেছে। আদালতের রায়ে আমি আজ পরিত্রাণ পেলাম।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৮৮ সালে ক্যাশিয়ার হরেন্দ্রনাথসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা। দোষী সাব্যস্ত করে সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার আদেশ দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ১৯৯২ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত আপিল গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করে। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক ২০১৯ সালে আপিল করে। ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট এ আপিল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুনানি শেষে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দেয় আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৩:১৪ ৩৮ বার পঠিত