শরীয়তপুরের জাজিরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বিবাদী হামেদ মাদবর আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের ভয়ে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট বন্দরের বাসিন্দা নুরল আমিন ফকির তার মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে ডুবিসায়বার বন্দরে নালিশী ভূমি বহুযুগ ধরে ভোগ দখলে আছেন এবং আরএস,এসএ জরিপে তাদের নাম আছে কিন্তু বিআরএস জরিপে হামেদ মাদবরদের নাম রয়েছে। উক্ত জমি নিয়ে অনেক শালিস দরবার ও হয়েছে। সর্বশেষ হামেদ মাদবর নালিশী ভূমিতে ভবন নির্মাণ করতে গেলে ২৮ নভেম্বর নুরুল আমিন ফকির আদালতে উক্ত ভূমিতে নিষেধাজ্ঞার মামলা করেন এবং আদালত নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় হামেদ মাদবর ও তার লোকজন রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
ভুক্তভোগী নুরুল আমিন ফকির বলেন, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সঙ্গে তাদের বিরোধ, আমি হাইকোর্ট থেকে বাটোয়ারা মামলা করার অনুমতি এনেছি ও এই জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞার মামলা করেছি এবং নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। তারপরও তারা রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন তৈরি করতেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ হামেদ মাদবরের শ্বশুর বাড়ির একজন নিকট আত্মীয় জাজিরা উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এ কারণে তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মাণ করেন। রাতের বেলা কাজে বাধা প্রদান করায় আমার ছেলেকে মারধর করে।
অভিযুক্ত হামেদ মাদবরের আত্মীয় জাজিরা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুরজ মাদবর বলেন, ২৭ নভেম্বর যখন নিষেধাজ্ঞার কাগজ আসলো তখন থেকে আর এখানে কোন কাজ করা হয় না। এই জায়গা নুরুল আমিন ফকিরের আত্মীয়ের কাছ থেকে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কিনেছি তারপর নিম্ন আদালতে আমাদের পক্ষে রায় এসেছে। তাছাড়া আমরা কাউকে রাজনৈতিক দলের প্রভাব দেখাই না।
প্রতিবেশী শামিম মোল্লা বলেন, ফকিররা নিরীহ মানুষ তাদের এই জায়গায়টা সুরুজ মাদবর ও হামেদরা শুধুমাত্র একটা স্ট্যাম্প দিয়ে দখল করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন বলেন, ওই জায়গায় কোন কাজ চলে না, যদি কেউ রাতের আঁধারের কাজ করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৫:১৩:৩৩ ৩২ বার পঠিত