ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে স্রেফ উড়ে যায় বাংলাদেশ। ২০১ রানের বড় হারের পর বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে, এমন বিশ্বাস খোদ টিম ম্যানেজমেন্টরও ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে বাংলাদেশ সেটাই করে দেখিয়েছে।
জ্যামাইকা টেস্টে পেসারদের দাপট আর তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১০১ রানের জয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে। একইসঙ্গে ২০২৩-২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের সমাপ্তিটাও হয়েছে মধুর।
স্মরণীয় এই জয়ে বাংলাদেশ একগাদা রেকর্ড গড়েছে। জয়ের আনন্দ বাড়াতে সেসব কীর্তিতে একবার চোখ বুলানো যাক…
১
জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ বা তার চেয়ে কম রানে অলআউট হয়েও এই প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ।
২
২০১৩ সালে প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে টেস্ট সিরিজসেরা হন রবিউল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রবিউলের সিরিজসেরা হওয়ার ১১ বছর পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টেস্টে সিরিজসেরা হলেন তাসকিন আহমেদ।
৩
দেশের বাইরে টেস্ট জয়ের দিক দিয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের প্রিয় ভেন্যু। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনটি টেস্ট জয় করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এছাড়া পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দুটি করে টেস্ট জিতেছে।
৫
দেশের বাইরে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং এখন তাইজুল ইসলামের। জ্যামাইকায় ৫০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। আগের সেরা মাহমুদউল্লাহর, ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫/৫১।
২৫
এই সিরিজের বাংলাদেশের পেসাররা মিলে পেয়েছেন ২৫ উইকেট। যা কোনো টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশি পেসারদের জন্য সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। এর আগে দুবার এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট পেয়েছিলেন পেসাররা।
১০১
টেস্টে রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয় এটি। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের টেস্ট জয় ছিল ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে। সেবার ৯৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪২:২০ ৬৭ বার পঠিত