জরুরি অবস্থা বা সামরিক শাসন জারি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল। তার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিষয়ক বিল নিয়ে অব্যাহত মতবিরোধের জের ধরে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতের গভীরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তি থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এবং রাষ্ট্রবিরোধীদের নির্মূলের জন্য প্রয়োজনীয় এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থার অধীনে সেনাবাহিনীর আইন বহাল থাকবে। এ সময়ে নাগরিকদের স্বাভাবিক অধিকার থাকবে স্থগিত। প্রেসিডেন্ট সামরিক শাসন জারি করার পর দক্ষিণ কোরিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরে প্রথমবারের মতো বিপুলসংখ্যক সেনা জমায়েতের ছবি পাওয়া গেছে। পার্লামেন্টে প্রবেশের গেটে প্রহরা দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। পার্লামেন্ট ভবনের গেট বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পরিষদের একজন মুখপাত্র সিবিএস’কে বলেছেন, দক্ষিণ কোরীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে বাইডেন প্রশাসনের। তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে সামরিক শাসন জারির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কোনো মন্তব্য করেনি। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছে, সামরিক শাসন লঙ্ঘন করলেই গ্রেপ্তার করা হবে। বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপের মতে, সামরিক আইন লঙ্ঘন করলেই পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করা যাবে। সব মিডিয়া এবং প্রকাশনা সংস্থাগুলো সামরিক আইনের কমান্ডের অধীনে থাকবে। একইসঙ্গে পার্লামেন্টের কর্মকাণ্ড থাকবে নিষিদ্ধ। ওদিকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন বেশ কিছু এমপি ও স্টাফ। এর ছাদে অবতরণ করেছে একটি হেলিকপ্টার। ধারণা করা হয়, তা দিয়ে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৪:৩৯ ৫০ বার পঠিত