সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

প্রথম পাতা » অন্তবর্তীকালীন সরকার » সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত
বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪



সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই তথ্য জানিয়েছেন।

সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে এই আইন ব্যবহার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আইনটি বাতিল বা সংশোধনের বিষয়ে কিছুদিন ধরেই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল।

সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, এ সপ্তাহে এই আইন বাতিল হচ্ছে। তারও আগে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই যাবে সরকার। এটা বাতিল হবে। পরবর্তী সময়ে যখন নতুন আইন হবে, এটার বেসিক অ্যাপ্রোচ থাকবে সাইবার সুরক্ষা দেওয়া, বিশেষ করে নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়া।

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হলে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণা’ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাইবার আইনে দায়ের হওয়া ‘স্পিচ অফেন্স’ (মুক্তমত প্রকাশ) সম্পর্কিত মামলাগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে এসব মামলায় কেউ গ্রেফতার থাকলে তিনিও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবেন বলেও জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

এদিকে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর অধীনে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান রয়েছে।

এছাড়া বর্তমানে ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত এক হাজার ৩৪০টি মামলা চলমান। এরমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে ২৭৯টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৭৮৬টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে ২৭৫টি মামলা চলমান। এসব মামলার মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তকারী সংস্থার নিকট তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা দেশের আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের আমলে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়। পরে এ বিষয়ে কঠোর সমালোচনা হলে ২০২৩ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে তার বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। তবুও এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে এই আইন নিয়ে আপত্তি ওঠে। আজ আইনটি বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৬:৫৫   ৮১ বার পঠিত  




অন্তবর্তীকালীন সরকার’র আরও খবর


হাসান আরিফ ছিলেন দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র: আইনজীবীরা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের ৫ মামলা বাতিলই থাকছে
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ
নিরাপত্তা দিতে না পারলে ভারতকে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সহায়তা নেয়ার পরামর্শ আসিফ মাহমুদের
রাষ্ট্র মেরামত ছাড়া বিদায় নিলে এই প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: শফিকুল আলম
কলকাতায় বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার ঘটনায় ঢাকার তীব্র নিন্দা
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত
ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান থাকছে: ড. আসিফ নজরুল

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ