পহেলা নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথককরণ দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়। ওইদিন থেকেই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে শুক্রবার কেক কেটে ১৭ বছর পূর্তি দিবস উদযাপন করে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. সাব্বির ফয়েজ, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জেলা জজ মো. মাজহারুল ইসলাম, জেলা জজ শেখ হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকরা ছিলেন।
বিচারক সাব্বির ফয়েজ বলেন, বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়। এই পৃথকীকরণে সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এমএম রুহুল আমিনসহ যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে। এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ আরো কার্যকর রূপ পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথককরন সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায় আসে ১৯৯৯ সালে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া ওই রায় ২০০৭ সালে বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাস্তবায়ন করা হয়। পৃথক হয় নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ। কিন্তু গত ১৬ বছরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধু পৃথক সচিবালয়ই নয় নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিচার বিভাগ। আছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, মামলা অনুপাতে বিচারকের নিদারুণ স্বল্পতা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাবের ঘাটতি, আদালতগুলোর অবকাঠামোগত সংকট, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোন যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা না থাকা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৯:৩৩ ২৭ বার পঠিত