চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ অক্টোবর ।

প্রথম পাতা » আদালত সংবাদ » চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ অক্টোবর ।
সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩



 

---

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

এদিন এ মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহীনুর আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ

প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৪:১১   ১৬২ বার পঠিত  




আদালত সংবাদ’র আরও খবর


এস আলম ও পরিবারের এফএসআইবির ১২৫ অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
বান্দরবান আদালত চত্বরে ১০৩ টি নিস্পত্তিকৃত মামলার আলামত আইনি প্রক্রিয়া শেষে ধ্বংস।
আপিল শুনানি শুরু বাবরের খালাস চাইলেন আইনজীবী শিশির
হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন শমী কায়সার
অর্ধশত বিচারক ও কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে রিট
দুদকের মামলা হাইকোর্টে সাবেক ওসি প্রদীপের স্ত্রীর জামিন
জামিন মেলেনি বেনজীরের ক্যাশিয়ার জসিমের
মানি লন্ডারিং মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমানের বন্ধু মামুন
এসপি বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
রিট খারিজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হচ্ছে না

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ