নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল বাকীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মো. আলী আহসানের আদালত তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেন। এরপর আসামিদের পক্ষে তাকে জেরা শেষ করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
পরে আগামী ১০ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন দুদক চারজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। আদালতে তাদের হাজিরাও দেওয়া হয়। তবে আদালত একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বাকিদের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
মো. আব্দুল বাকী গত ১৪ মে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।এরপর ১১ জুনও আংশিক সাক্ষ্য দেন তিনি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া বলেন, মামলায় মোট সাক্ষী ৭০ জন। এর মধ্যে মামলায় বাদী ও দুই কানাডিয়ানসহ ছয়জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক।
আর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৬:২১ ৪৮ বার পঠিত