বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রথম পাতা » জাতীয় » বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪



সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বামে), তৎকালীন বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিম (ডানে)।

১৫ বছর আগে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বাহিনীটির উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এ মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বিডিআরের ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিমকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার মধ্যে হত্যার চেষ্টা করে কয়েকজন। কিন্তু সাধারণ সৈনিকেরা তার বাবাকে ভালোবাসতেন বিধায় তারা রক্ষা করেন। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে কোনো একদিন ডিএডি আব্দুর রহিমকে পিলখানার ঢাকা সেক্টরের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে জেনারেল আজিজ ও আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন পিলখানার ঘটনার রাজসাক্ষী হতে বলেন। তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে রাজসাক্ষী হয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলেন।

‘বাবা রাজি না হওয়ায় তাকে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাদীর বাবার শরীরে ইনজেকশন পুশ করার মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তার বাবাকে হত্যা করেছেন।’

বাংলাদেশ সময়: ০:৪৩:৩২   ১৬ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


আয়নাঘরের আদ্যোপান্ত: পর্ব ১৩
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী
জঙ্গিবাদে অর্থদাতা নিষিদ্ধ এনজিও চালাতেন মনিরুল!
রাশেদ খান মেনন ফের ৩ দিনের রিমান্ডে
সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ গ্রেফতার
গভীর রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তল্লাশি
ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ মানেই আসামি নয়: চিফ প্রসিকিউটর
উত্তরা-যাত্রাবাড়ী-আশুলিয়া গণহত্যার বিচার আগে হবে: চিফ প্রসিকিউটর
আয়নাঘরের আদ্যোপান্ত: পর্ব ১২
জাহিদ মালেক পরিবারের ৬০০০ শতাংশ জমির খোঁজ

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ