মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান, বিজিবি’র টহল, সেনাবাহিনীর নজরদারির মধ্যেও পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে বাধা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন অনেকে। আটক করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে। সোমবার রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, বাড্ডা, পল্টন, ডিআরইউ, ইসিবি চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন তারা। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। আটক করা হয় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে। দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ করার উদ্দেশ্যে ধানমণ্ডি-২ নম্বর রাস্তার মাথায় অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের ২৫ থেকে ৩০ শিক্ষার্থীর একটি দল।
এসময় পুলিশ গিয়ে তাদের বাধা দেয়। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ১টা ২০ মিনিটের দিকে ধানমণ্ডি থানা ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে শিক্ষার্থীরা দৌড়ে স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টের উল্টোপাশে ইয়োলর সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা সামনে এগুতে চাইলে পুলিশ আবারো তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় অন্তত দশ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে আটককৃতদের জোর করে টেনেহিঁচড়ে ঢোকানো হয় সায়েন্সল্যাব পুলিশ বক্সের মধ্যে। এরপর একটি প্রিজনভ্যানে উঠিয়ে তাদের দশজনকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। এদিকে গতকাল সকাল থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে অবস্থান নিয়েছিল ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যেই দুপুর ২টার দিকে জড়ো হয় ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থীর একটি দল। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেখান থেকে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আটককৃতদের মধ্যে মো. সাঈদ নামে একজন চিৎকার করে বলেন, আমার বাসা এখানে বসুন্ধরা ডি ব্লকে। আমি বাজার করে বাসায় যাচ্ছিলাম। আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে নিয়ে এই গাড়িতে উঠালো পুলিশ। আমি এখনো বুঝতেছি না কেন আমাকে আটক করা হলো।
প্রিজন ভ্যানের পাশেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক মহিলাকে। তিনি বলেন, তার ছেলে ছাত্র নয়। তিনি অসুস্থ হওয়ায় তার সঙ্গে বাজারে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল তার ছেলে। এরপরও তাকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। মাহাবুবুর রহমান নামে আটক আরেকজন বলেন, এখানে গাড়ি ঠিক করতে এসেছিলাম। আমাকে পুলিশ জিজ্ঞেস করলো তুমি কোথায় পড়ালেখা করো। আমি তখন বলি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। এরপরই আমাকে আটক করে। এদিকে দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় জড়ো হয় বেশ কিছু শিক্ষার্থী। চারপাশের পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্যেই পল্টনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় কিছু সময়ের জন্য রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখান থেকে কোটা সংস্কারের অন্যতম সহ-সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দিক আলি ইবনে মোহাম্মদ এবং আরবি বিভাগের আবিদ হাসান রাফিসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। একই সময়ে বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও ছিল পুলিশের কঠোর অবস্থান। সেখানেও সমাবেত হওয়ার আগেই আটক করা হয় ৩ জনকে।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ইসিবি চত্বরে জড়ো হন বেশকিছু শিক্ষার্থী। সেখানেও ধাওয়া দিয়ে অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে ৯ দফা দাবি আদায়ে এই সমাবেশ করেন তারা। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করার কথা থাকলেও পুলিশি বাধায় ডিআরইউ’র সামনে কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি আদায় না হলে রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন। তারা গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৫
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি, রড, পাইপ নিয়ে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় অন্তত ১৫ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভসহ ১০ শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের সমাবেশে হামলা চালায়। তবে পুলিশ দাবি করেছে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ববি সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ২০ শিক্ষার্থী ববি’র গ্রাউন্ড ফ্লোরে মিটিং করছিলাম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা একে আরাফাতের নেতৃত্বে ২০-৩০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী লাঠি, রড ও পাইপ নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের মাহমুদুল হাসান তমাল, আল সামাদ শান্ত, খালেদ হাসান, শাহরিয়ার সান, সাব্বির, জাইফ, সাইফ, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলামকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। হামলার পর ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমাদের মিটিংকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের সামনেই আমাদের বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ।
জাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল সাড়ে ৪টায় একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে প্রধান ফটক ডেইরি গেইট ঘুরে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে একটি সমাবেশে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয় এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সোহাগী সামিয়া বলেন, আমরা একটা যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছি। আমরা আলোচনা করতে চেয়েছি কিন্তু এই স্বৈরাচারী অবৈধ সরকার তার লেজুড়বৃত্তিক ক্যাডার ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে। আমি সকল দলমতনির্বিশেষে সবাইকে বলতে চাই এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। তিনি আরও বলেন, যে দেশে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের রামদার সামনে দাঁড়িয়ে, পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে পারে। সে দেশে শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচার টিকতে পারবে না। এ সময় আন্দোলনকারীরা চার দফা দাবি পেশ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। দাবিগুলো হলো: কেন্দ্রীয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে; কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বিচার করতে হবে এবং তাদের মুক্তি দিতে হবে।
বগুড়ায় প্রাইভেটে যাওয়ার পথে তিন খুদে শিক্ষার্থীকে আটক
বগুড়ায় প্রাইভেটে যাওয়ার সময় দুই খুদে শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শহরে কেন্দ্রবিন্দু সাতমাথা অতিক্রম করার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ হেনস্তাও করে দুই ছাত্রীকে। পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। আরও একজন কিশোরকে এভাবেই পুলিশ সাতমাথা থেকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। ওদিকে ৯ দফা দাবিতে বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জলেশ্বরীতলার কালীমন্দির এলাকার শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এরপর চারটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে কথা বলে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
শাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের জিম্মি করে অস্ত্রের মুখে বিবৃতি আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাবিপ্রবিসহ সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা গুম-গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হত্যার বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এর পূর্বে, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে প্রধান ফটক থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
ঠাকুরগাঁওয়ে কালো পতাকা হাতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল
সারা দেশে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ নিহতের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে কালো পতাকা মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বেলা সাড়ে ১২টায় শহরের সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় (বড় মাঠ) মাঠ থেকে মিছিলটি বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে চৌরাস্তা প্রদক্ষিণ করে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
লক্ষ্মীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
হামলা-মামলা ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থীদের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ ৮ দফা দাবিতে লক্ষ্মীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের কঠোর অবস্থান ও সড়কে কাউকে জড়ো হতে দেয়নি পুলিশ। একপর্যায়ে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের মাদামব্রিজ এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়ক ঝুমুর সিনেমা হল এলাকার দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে আন্দোলনকারীরা কিছুদূর গেলে পুলিশ ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করে। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
যশোরে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
যশোরে পুলিশি বাধার মুখে রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। গতকাল পূর্ব নির্ধারিত বিকাল ৩টা থেকে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্কুল ও কলেজ এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহরের প্যারিস রোড খ্যাত ডিসি অফিস মোড়ের রাস্তায় জড়ো হতে থাকে। কিন্তু পূর্বেই খবর পেয়ে গোটা এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা। এ সময় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আসা বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। কিছুক্ষণ পরে যশোর সিজিএম কোর্ট চত্বরে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে কোর্ট চত্বরে অভিযান চালিয়ে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় ডিবি পুলিশ। এরপর ছাত্রদের একটি অংশ মুজিব সড়কে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনের রাস্তায় জড়ো হতে থাকে। কিন্তু সেখানে আগে থেকে সতর্ক থাকা পুলিশ সদস্যরা লাঠিচার্জ করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শহরের ধর্মতলা মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এখানে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং দ্রুত এসকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন এবং ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ৮:২০:২৩ ৬৮ বার পঠিত