চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় ছাত্র জোট (এআইএসএ)। গতকাল মঙ্গলবার ছাত্র সংগঠের জোটটির সভাপতি নিলাসিস বোস এবং সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ কুমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি। আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং তরুণদের বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতাদের পাশে আছি। যারা আহত এবং আটক হয়েছেন তাদের পাশে আছি।’
‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বৈষম্যমূলক কোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাস্তায় আন্দোলন করছে বাংলাদেশে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। আন্দোলন চলার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং সরকার দলীয় সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল, রোড এবং লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়।’
শিক্ষার্থী এবং তরুণরা সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়াও নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী কোটাসহ জেলা কোটাও রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা নবম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করা করে। ফলে সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১০ শতাংশ জেলা কোটা বাতিল হয়ে যায়।
পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাত জন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি শেষে গত ৫ জুন সরকারের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এতে সরকারি চাকরিতে আবারও কোটা ফিরে আসে। এরপর থেকেই এই আন্দোলন নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:১১:২৪ ৬৮ বার পঠিত