নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমানের (রাসেল) সন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস (স্বশরীরে হাজির করা) রিট দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুরের বাবা আবুল হোসাইন সরদার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের আবেদনে বলা হয়, ৮ দিন আগে ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমানের (রাসেল) খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। তার পরিবার সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ, হাসপাতাল, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছে, কোথাও তার হদিস নেই।
তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, আতিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তিনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার আজিমপুর অগ্রণী স্কুলের সামনে থেকে ১ জুলাই আতিকুর রহমান নিখোঁজ হন। গত আট দিনে আতিকের সন্ধানে তার বাবা, দুই বোন পাগলপ্রায়। নিখোঁজ আতিকুর রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি। হঠাৎ করে কেন তার এই নিরুদ্দেশ, তা নিয়ে সংগঠনে চলছে নানা আলোচনা।
আতিকুর রহমানের বোন তানিয়া আক্তার বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যা ৬টায় ভাইয়ার সঙ্গে বাবার শেষ কথা হয়। আমার বাসায় আসার কথা ছিল ভাইয়ার। আসতে দেরি হওয়ায় বাবা ফোন দেওয়ার পর দেখা যায় ফোন বন্ধ। আর কোনো খবর নেই। গত তিন দিন হঠাৎ তার ফোন অনলাইনে দেখা যায়। অনেকবার ফোন করে ও মেসেজ পাঠিয়েও কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
আতিকুর রহমানের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নে। তিনি রাজধানীর লালবাগে একটি ভাড়া বাসায় মেসে থাকতেন। তার দুই বোনও ঢাকায় থাকেন। আতিকের মা নেই। আতিক নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন মেয়ের বাসায় এসেছিলেন বাবা মো. আবুল হোসেন সরদার। কিন্তু ঢাকায় এসে ছেলের দেখা পাননি। ছেলের সন্ধান চেয়ে আবুল হোসেন সরদার রাজধানীর লালবাগ থানায় জিডি করেন। এরপর থেকে তিনি ছেলেকে খুঁজে পেতে থানা-পুলিশ, হাসপাতাল, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বাংলাদেশ সময়: ৪:০১:৫৩ ৭৯ বার পঠিত