ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশে শাসন শুরু করার পর ১৮৬০ সালে তৈরি করেছিল ভারতীয় দণ্ডবিধি। প্রতারণা ঠেকাতে করা হয়েছিল ৪২০ ধারা।
ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি), ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) এবং ভারতীয় প্রমাণ আইন — ব্রিটিশ আমলের তিনটি আইন যা ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করেছিল তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার-এর।
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে চালু তিনটি আইন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য ৪২০ ধারা। বাতিল হয়ে গেল ৪২০ ধারা। ১৬৪ বছর পর আর থাকছে না এই ধারা।
বাতিল হওয়ার পর সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন ‘ন্যায় সংহিতা’ আইন। এটা ব্রিটিশ যুগের পুরানো দণ্ডবিধি ‘৪২০’ ধারার পরিবর্তন।
১৮৬০ সালে তৈরি হওয়া ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ বা ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে চালু হলো ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ আইন।
ব্রিটিশ যুগের পুরানো দণ্ডবিধি ‘৪২০’ ধারাটি প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা হতো। এখন এটি পরিবর্তন করে নতুন ধারা ৩১৮(৪) -এ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
তবে, কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতের আইনজীবীদের একাংশ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) ৪২০ ধারা বাতিল হওয়ার এক ব্যক্তি লিখেছেন, ”এ বার কি তা হলে প্রবাদেরও বদল হবে!”ভারতীয়দের প্রবাদে, সিনেমায়, গল্পে কিংবা দৈনন্দিন জীবনে প্রতারণার সাথে ৪২০ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। প্রচারের মঞ্চে রাজনীতিকেরা প্রায়ই বিরোধীদের বলে থাকেন, ‘চারশো বিশ’। হাটে-বাজারে লোকজন অনায়াসে বলে থাকে ‘চারশো বিশ’।
প্রতারককে শুধু ভারতেই নয়, এ দেশেও ৪২০ বলে ডাকা হয় অনেকসময়।
পাকিস্তানের দণ্ডবিধিতেও ‘প্রতারণা এবং অসততা’র অভিযোগে ৪২০ ধারাতেই মামলা করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১১:৫২ ২০৪ বার পঠিত