‘ঘরে বসেই ইউটিউবের ভিডিওতে লাইক দিয়ে টাকা আয় করুন’– এমন লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। সংঘবদ্ধ এ প্রতারকদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার রাতে এটিইউর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার শিরিন আক্তার জাহান জানান, গ্রেপ্তার মো. শফি চট্টগ্রামের আনোয়ারা গুণদ্বীপ এলাকার কবির মোহাম্মদ বাড়ির মৃত আবদুস ছামাদের ছেলে। সম্প্রতি শফির প্রতারণার শিকার হয়ে ‘ইনফর্ম এটিইউ অ্যাপে’ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী তোজাম্মেল হোসেন। পরে অভিযোগের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ‘মালিহা বিনতে ইসলাম’ নামধারী এক প্রতারক বিভিন্ন জনকে ঘরে বসে অনলাইনে ইউটিউবে ভিডিওতে লাইক দিয়ে টাকা আয়ের লোভনীয় প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হলে ভুক্তভোগীকে বলেন, তাদের একজন প্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। একটু পর প্রতারকরা তাঁকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করেন। কাজের বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
তোজাম্মেল বলেন, মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে প্রতারকদের কথামতো তাদের দেওয়া লিংকে নিয়মিত কাজ করতে থাকেন। কদিন পর বিশ্বাস অর্জনের জন্য কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে তাঁর নগদে ২১৩ টাকা পাঠায়। এর পর প্রতারক চক্রের সদস্যরা বলেন, আপনার (তোজাম্মেল) কাজের ভলিয়ম অনেক বেশি। আপনাকে সিকিউরিটি বাবদ কিছু টাকা জমা দিতে হবে। তার পর কয়েক ধাপে ৩৪ হাজার টাকা প্রতারকদের পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, কিছু দিন পর প্রতারকরা তাঁকে জানান তাঁর কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে অনেক টাকা জমা হয়েছে। সেই টাকা উত্তোলনে সিস্টেম রিপেয়ারিং করার জন্য আরও টাকা জমা দিতে হবে। তাদের কথামতো চক্রের দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিং ও ইউসিবি ব্যাংকের হিসাব নম্বরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫২৯ টাকা পাঠান। চক্রটি আরও টাকা চাইলে ভুক্তভোগীর সন্দেহ হয়। পরে তিনি টাকা ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার জানিয়ে তাদের সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ করে দেয়।
পুলিশ সুপার শিরিন জানান, প্রতারণার ঘটনায় চক্রের সক্রিয় সদস্য শফিকে গ্রেপ্তার করে এটিইউ। পরে তোজাম্মেল ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় শফিসহ তাঁর অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গ্রেপ্তার আসামিকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৮:৩৮ ৭৪ বার পঠিত #প্রতারক #মোবাইল ব্যাংকিং