ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত হাঙ্গেরিকে ২০ কোটি ইউরো জরিমানা করেছে এবং ব্লকের আশ্রয় আইন মানতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং অভিবাসীদের অবৈধভাবে নির্বাসনের জন্য প্রতিদিন ১০ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে।
ইউরোপীয় আদালত বলেছে, বুদাপেস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনগুলোকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাওয়া’য় এ জরিমানা। ২০২০ সালের এক রায়ে বলা হয়েছে আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক আইনগুলো মেনে চলতে হবে।
২০১৫ সালে সিরিয়ার সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপে প্রবেশ করলে, তখন থেকে হাঙ্গেরির অভিবাসী বিরোধী সরকার দেশটিতে বিদেশিদের প্রবেশের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ লক্ষে তারা সীমান্তের বেড়া তৈরি করে এবং অনেক অভিবাসন প্রত্যাশীকে জোরপূর্বক দেশটিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জারি করা রায়ে, ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস(ইসিজে) বলছে, অ্যাসাইলাম-অভিবাসনের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপিলের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত হাঙ্গেরি অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২০ সালের রায় মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। ইইউ নীতির এই ইচ্ছাকৃত এড়িয়ে যাওয়া ইউ আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
হাঙ্গেরি সরকার পূর্বে যুক্তি দিয়েছিল ২০২০ এর রায়টি বিতর্কিত, কারণ এটি ইতিমধ্যে তথাকথিত ট্রানজিট জোন বন্ধ করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মগুলোকে আরও কঠোর করছে।
বর্তমানে হাঙ্গেরিতে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন করতে চাইলে তা করতে হয় হাঙ্গেরির বাইরে সার্বিয়া অথবা ইউক্রেনে অবস্থিত দেশটির দূতাবাসের মাধ্যমে। এছাড়া একই উদ্দেশ্যে কেউ দেশটি প্রবেশ করতে চাইলে তাদের নিয়মিত ভাবে পুশব্যাক করা হয়।
যদি কেউ তাদের নিজ দেশে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ বা অন্যান্য বৈষম্যের কারণে নিপীড়নের সম্ভাবনার সম্মুখীন হয় তবে তিনি বা তারা ইইউ আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদন করার অধিকার রাখে। হাঙ্গেরি যে আইনের সার্বিক লঙ্ঘন করেছে বলে মত দিয়েছে ইসিজে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২১:০৬ ৬৬ বার পঠিত