দেশের সব অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালুর নির্দেশ

প্রথম পাতা » প্রযুক্তি » দেশের সব অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালুর নির্দেশ
রবিবার, ৯ জুন ২০২৪



দেশের সব অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালুর নির্দেশ।

দেশের সব অফিস-আদালতে ইলেকট্রনিক সই (ই-সিগনেচার) ব্যবহার নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ই-সিগনেচার বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা হলফনামা আকারে আগামী ১২ আগস্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনারি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব)। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।

এর আগে দেশের সব অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে সংশ্লিষ্টদের গত ১ এপ্রিল আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু কার্যকর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ রিটের দায়ের করা হয়।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলসহ আট জনকে বিবাদী করা হয়।

রিটে আবেদনে বলা হয়, অনেক সময় অনেকে সই করলেও পরে অস্বীকার করেন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে সই করেছিলেন কিনা তা কোর্টে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রমাণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করে বা ই-মেইল দেওয়ার পর আইনি জটিলতা দেখা দিলে পরে অস্বীকার করেন। ই-স্বাক্ষর চালু হলে সই অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না। কারণ যিনি সই করবেন, তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তার সইটি প্রদান করবেন।

ইলেক্ট্রনিক সই হলো একটি আইনি ধারণা, যা ডিজিটাল সই থেকে আলাদা। এটি একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রক্রিয়া, যা প্রায়ই ইলেকট্রনিক সই বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও একটি ইলেকট্রনিক সই একটি ইলেকট্রনিক নথিতে প্রবেশ করানো নামের মতোই সহজ। ডিজিটাল সইগুলো ই-কমার্সে এবং নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে ক্রিপ্টোগ্রাফিকভাবে সুরক্ষিত উপায়ে ইলেকট্রনিক সই বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইলেকট্রনিক সই লেনদেনের সময় সঠিক শনাক্তকরণের জন্য স্বাক্ষরকারীর জন্য একটি নিরাপদ পদ্ধতি।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, ‘অফিস-আদালতের অনলাইন কার্যক্রমে ই-সিগনেচার প্রদানের বিষয়ে বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ই-সিগনেচার বাস্তবায়ন হলে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

বাংলাদেশ সময়: ৭:০০:৫১   ৪১ বার পঠিত  




প্রযুক্তি’র আরও খবর


ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের নির্দেশ
আজ বিকেল ৩টা থেকে চালু হচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট
ফেসবুক খুলবে কবে?
আগামী সপ্তাহে চালু হবে মোবাইল ইন্টারনেট
ইন্টারনেট সীমিতভাবে চালু হলো পাঁচ দিন পর
দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না
যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ করছে রুশ অ্যান্টি-ভাইরাস কোম্পানি ক্যাসপারস্কি
ডিএমপির নতুন ইউনিট ‘সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মিডিয়া মনিটরিং’
মেডিকেল শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার নারীদের ফাঁদে ফেলে অনলাইনে-সরাসরি বাধ্য করা হতো যৌনকর্মে, মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৮
সারাদেশে ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত: পলক

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ