নতুন ভূমি আইনে করা প্রথম মামলাসহ অন্যগুলোও ৯০ দিনে নিষ্পত্তি হয়নি বলে অভিযোগ বিচারপ্রার্থীদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমি আইন পাস হওয়ার পরও সুফল না পাওয়াটা দুঃখজনক; ভূক্তভোগী বিচারপ্রার্থীদের উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ তাদের।
রিনি পারভীন দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন সিঙ্গাপুরে। জমি-জমা নিয়ে মামলার জেরে সন্তানদের বিদেশে রেখে এখন থাকছেন ঢাকায়। স্বামী দুই বছর আগে মারা যাওয়ায় জমি রক্ষা করতে করেছেন মামলা, ঘুরছেন দফতরে-দফতরে।
এই ভুক্তভোগী জানান, মামলা করেছি কিন্তু নতুন নতুন তারিখ দেয়া হচ্ছে। তারা বলছেন, নতুন আইনের কার্যক্রম এখনও শুরু করা হয়নি।
রিনি পারভীনের মত এমন আরও অভিযোগ রয়েছে নতুন ভূমি আইনের সুফল না পাওয়া ভুক্তভোগীদের।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, “ওনারা বলেন যে মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি, নির্দেশনা লাগবে। অথচ আইনে সুষ্পষ্টভাবে বলা আছে, এটা যতদিন রুল না হবে বিধি না হবে ততোদিন পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ অর্ডারেই হবে।”
দলিল যার জমি তার অর্থাৎ দখলে থাকলেই হবে না, জমির দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও থাকতে হবে। এই বিধান রেখে সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল, ২০২৩’ পাস হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তবে ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিচারপ্রার্থীদের।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্রুতই উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেন জানান আইন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ দেয়ারও পরামর্শ তাদের।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বলেন, “ভূমি প্রতিরোধ ব্যবস্থা আইনটা অত্যন্ত যুগোপযোগী। কিন্তু আইনের সুফল পেতে হলে যাদেরকে ভূমি আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আর এই প্রশিক্ষণটা দিতে হবে যারা বিচারকার্য করেন তাদের দ্বারা।”
আইনে বলা হয়, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার আর তথ্য গোপন করে কোন ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোন দলিলে সই করলে সাজা হবে ৭ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৩:১১ ১০১ বার পঠিত #ভূমি আইন