আদালতের বারান্দায় পুলিশের কাছ থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি

প্রথম পাতা » জেলা জজ কোর্ট » আদালতের বারান্দায় পুলিশের কাছ থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪



---

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের রাড়ীকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাদবর হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মুন্নি বেগমসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আদালতের এজলাসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছিলেন মুন্নি বেগম। এ সময় আদালতের বারান্দায় বসে থাকা অপর আসামি বাবু ফকির (২৫) পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে শরীয়তপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের এজলাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পালিয়ে যাওয়া আসামি বাবু ফকির শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার মিয়া চান ফকিরের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া রাড়ীকান্দি গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন মাদবরের ছেলে মোহাম্মদ আলী মাদবর নিখোঁজ হন। পরদিন শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের বাড়ির সামনের পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এরপর গতকাল শুক্রবার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে অজ্ঞাত আসামিদের নামে পালং মডেল থানায় মামলা করেন নিহতের বড় ভাই কেরামত আলী মাদবর। পুলিশ বাবু ফকিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসলে বাবু ফকির পুলিশকে জানায় নিহতের স্ত্রী মুন্নি বেগমও হত্যার সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে নিহতের স্বজনরা জানতে পারেন মোহাম্মদ আলী মাদবর ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে এসে স্বজনরা মুন্নি বেগমের কাছে বিষয়টি জানতে চান। পরে মুন্নি বেগম শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে জানায়, ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদার ও তার সঙ্গীদের হাতে তুলে দেন তিনি। এরপর মুন্নি বেগমকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ মুন্নি বেগমকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পরে শনিবার দুপুরে মুন্নি বেগম ও বাবু ফকিরকে প্রিজন ভ্যানযোগে পালং মডেল থানা থেকে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের সামনে আনা হয়। আসামিদের বুঝে নেয় কোর্ট পুলিশ। এরপর বিকেল ৪টার দিকে এজলাসের সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান আসামি বাবু ফকির। আসামি পালিয়ে যাওয়ার পর ২০ থেকে ২৫টি টিম ইতোমধ্যে তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতের এজলাসের সামনে থানা ও কোর্ট পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন আসামিরা। এ সময় বাবু ফকির নামে একজন আসামি পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, একজন আসামি পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে ২০ থেকে ২৫টি টিম কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৫:৪৫   ১৩৭ বার পঠিত  




জেলা জজ কোর্ট’র আরও খবর


এস আলম ও পরিবারের এফএসআইবির ১২৫ অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
বান্দরবান আদালত চত্বরে ১০৩ টি নিস্পত্তিকৃত মামলার আলামত আইনি প্রক্রিয়া শেষে ধ্বংস।
জামিন মেলেনি বেনজীরের ক্যাশিয়ার জসিমের
রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী লতিফের মৃত্যুদন্ড
বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণ অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়ক মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে
ফের ৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
১১৩ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হাজী সেলিমপুত্র বললেন ‘শেখ হাসিনা আবার আসবেন’
পুলিশ হেফাজতে বডিবিল্ডার ফারুকের মৃত্যু বংশাল থানার সাবেক ওসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পুনঃতদন্তের নির্দেশ
ওবায়দুল কাদেরের পিএস মতিন ৩ দিনের রিমান্ডে

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ