বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ ও অনৈতিককাজের উদ্দেশে বিক্রির ঘটনায় পাচারচক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৮।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে পটুয়াখালী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানার তদন্তকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে গত ১১ মার্চ বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ভরপাশা টিএন্ডটি রোড মহিলা দাখিল মাদরাসার সামনে থেকে জোরপূর্বক মানবপাচারের উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। পরে ওই কিশোরীকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজের উদ্দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বাবা বাকেরগঞ্জ থানায় ১২ মার্চ সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, পাচারচক্রের মূলহোতা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জলিশা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ইমন হোসেন (২০)। ইমনের দুই সহযোগী শরীয়তপুরের পালং থানাধীন চরপাতালীধী গ্রামের আনিচ আলীর মেয়ে তানিয়া (২৬) ও মাদারীপুর সদর থানাধীন পুরান বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর বেপারীর মেয়ে জাহানারা বেগম (২৭)।
র্যাব জানায়, গত ১১ মার্চ বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ মহিলা মাদরাসায় যাওয়ার পথে ভূক্তভোগী কিশোর নিখোঁজ হয়। যে ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাকেরগঞ্জ থানায় ১২ মার্চ সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনায় তদন্তে নেমে থানা পুলিশ জানতে পারে অপহৃতা কিশোরী পটুয়াখালী সদর এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় পুলিশ বরিশালের র্যাব-৮ বরাবর একটি পত্র পাঠায়। এরপর র্যাব যুক্ত হয়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে ওই কিশোরীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৬:০৯ ১৭৮ বার পঠিত