স্বপন বিশ্বাস, রাজবাড়ীঃ
মেধা ও যোগ্যতায় হয় সরকারী চাকুরী, লাখ লাখ টাকা আয় প্রতারকের, আর না হলে চেক ডকুমেন্ট দিয়ে করে নতুন প্রতারনা। প্রতারনার এই নতুন কৌশল বেছে নিয়েছে ডোমাইনের একটি প্রতারক চক্র।
প্রথমিক শিক্ষক নিয়োগ সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে চেক, স্ট্যাম্প নিয়ে প্রতারনা করতে গিয়ে রাজবাড়ী ডিবির কাছে আটক হয়েছে মোঃ আলী রেজা সুমন (৩৮) নামে
প্রতারক চক্রের এক সদস্য।
সে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার নিশ্চিন্তপুর ডোমাইন গ্রামের মোঃ এবাদত হোসেন মোল্লার ছেলে।
ওইসময় গ্রেফতার প্রতারকের কাছ থেকে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন ব্যাংকের ৩ টি চোদ্দ লক্ষ টাকার চেক ও একটি স্বাক্ষর করা চেক ( যাতে টাকা উল্লেখ নেই) কয়েকটি কাগজপত্র সহ একটি মোবাইল উদ্ধার হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক এর কাছ থেকে জানাযায়, প্রতিটি সরকারী দপ্তরে চাকুরীর সার্কুলার এলে সরব হয় এই চক্রটি, নেমে পড়ে প্রার্থী যোগাড়ে।
সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলে এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় তারা বিভিন্ন প্রার্থী যোগাড় করে এই বলে যে, চাকুরী হওয়ার পরে টাকা। কিন্তু দিতে হয় সিকিউরিটি বাবদ ১৪ লাখ টাকার চেক, স্ট্যাম্প ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল মূল সনদ। মেধা ও যোগ্যতায় যাদের চাকুরী হয় তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা আর যাদের চাকুরী হয়না, তাদের চেক, স্ট্যাম্প দিয়ে শুরু করে নতুন প্রতারনা। তদন্তে আরো জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক চক্রটি এরকম প্রতারনা করে যাচ্ছিল। তাদের গ্রেফতারে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে চাকুরী প্রত্যাশীরা। প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপ্স) মুকিত সরকার এর সার্বিক তত্তাবধানে, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনজার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান খান এর নের্তৃত্তে এসআই মোঃ হাসানুর রহমান ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের এক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (৩১মার্চ) বেলা আড়াই টার দিকে
জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনালী ব্যংকের সামনে থেকে উল্লেখিত আলামত সহ হাতেনাতে আটক করা হয় প্রতারক চক্রের ঐ সদস্যকে।
এ সংক্রান্তে বালিয়াকান্দি থানার গ্রেফতার প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে (১এপ্রিল) তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয় বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪৭:৪৪ ৯৯ বার পঠিত