পিলখানার চূড়ান্ত বিচার দ্রুত শেষ হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

প্রথম পাতা » জাতীয় » পিলখানার চূড়ান্ত বিচার দ্রুত শেষ হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪



---

পিলখানার হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার দ্রুত শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পিলখানায় একটি বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছিলো। তদন্ত সম্পন্ন করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড ছিল। এগুলো শেষ হয়েছে। আপনারা দেখেছেন প্রাথমিক একটা বিচার হয়েছে। চূড়ান্ত বিচার হয়তো অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণ আমাদের বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চূড়ান্ত বিচারটাও আমরা দেখবো।

নিহতদের অনেক স্বজন বৃদ্ধ হয়েছে, তারা আদৌ বিচার দেখে যেতে পারবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমিও সেটি বলি, যাই হোক দ্রুতই হোক। তবে কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই ফাইনাল সিদ্ধান্ত। আপনারা জানেন আমাদের আদালত স্বাধীন। আদালত একটি ন্যায্য বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে কারো গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরণের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরণের বিচার কার্য ছিল। এই সবগুলোই সময় লেগেছে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির এই দিনে সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার।

তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনের ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার। দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অপর মামলাটি এখনো বিচারিক (নিম্ন) আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের গণ্ডি পার হয়নি। হত্যা মামলার আপিল শুনানি কবে শুরু হবে, তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১১:০৭:১২   ২৩৩ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
বেশ কয়েকজন বিচারপতির অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির তথ্য দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
হাসান আরিফ ছিলেন দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র: আইনজীবীরা
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ হয়: পলক
গুমে জড়িত ২০ জনের পাসপোর্ট স্থগিত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় জামায়াতের প্রয়াত আমিরকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড থেকে খালাস
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা খালাস পেলেও এখনই মুক্তি মিলছে না বাবরের
আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাস

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ