সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সংস্থাটির পরিচালক ঋত্বিক সাহাসহ ৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বাকি সাক্ষীরা হলেন— দুদকের উচ্চমান সহকারী এ জেড এম হাছানুজ্জামান ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এদিন তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৪ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিন আসলাম চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ নিয়ে মামলাটিতে ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।
গত বছরের ৮ জুন একই আদালত আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীল চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা ২০১৯ সালের ১৩ মে আসলাম চৌধুরী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকে দাখিলের জন্য নোটিশ দেন। তিনি কারাবন্দি থাকায় কারাগারেও নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পেয়ে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ২১ কর্মদিবস, এরপর আরও ১৫ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক। কিন্তু তিনি ওই সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে ফের আবেদন করেন। সময় বৃদ্ধির সুযোগ নেই জানিয়ে তাকে নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেননি। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলাটি করা হয়।
মামলাটি তদন্তের পর ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১২:১৩ ১২৫ বার পঠিত